ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট মার্কা জানিয়েছে, সম্প্রতি দ্য সানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রদ্রিগেজ এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, দুই মাস কথা আদান-প্রদানের পর দুজনের সম্মতিতেই বিছানায় মিলিত হয়েছিলেন তারা। আর এ ঘটনা ঘটে রোনালদোর বর্তমান বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের সঙ্গে তার সম্পর্কের কিছুদিন আগেই।
নাতাশা রদ্রিগেজ বলেন, ‘তখন রাত ১টা, আমি তাকে (রোনালদো) আমার একটি ছবি পাঠাই। সঙ্গে একটা বিরাট চুম্বনের ইমোজিও দেই। আমি কখনো ভাবতেও পারিনি যে, সে আমার মেসেজের রিপ্লাই দেবে। কিন্তু আমার ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে ভোর ৬টায় সে আমাকে পাল্টা ক্ষুদেবার্তা পাঠায়।’
তিনি বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে যদি সেখানেই সবকিছু শেষ হয়ে যেত, তবেই হয়তো ভালো হতো। কিন্তু সবকিছু তখনো শেষ হয়ে যায়নি।’
পর্তুগিজ মডেলের ভাষ্য মতে, সময়টা ২০১৫, বিশ্বসেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তখন বান্ধবী ইরিনা শায়েকে পুরোদমে মজে ছিলেন। কিন্তু সেসময়ই আমি তার সঙ্গে মিলিত হলাম।
আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমি রোনালদোর অ্যাপার্টমেন্টে কিভাবে গেলাম! আমার বুক ধক ধক করছিল। তবে তার (রোনালদো) আচরণ খুবই বন্ধুসুলভ ছিল। আমার এমন অবস্থা দেখে সে আমাকে বলল, নিজের বাসা মনে করে থাক। কোনো অস্বস্তি রেখো না।
এরপর আমি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হই। দুজনে দীর্ঘক্ষণ গল্প করি। নিজের কথা বলি। সে তার কথা বলে। তারপর ধীরে ধীরে আমরা ঘনিষ্ট হই এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি।
নাতাশার ভাষ্যমতে, সেবারের মিলনের পরও ২০১৭ সালের মার্চে আবারো তাদের কথা হয়। এই মডেল আরও জানান, সে (রোনালদো) আমাকে একদিন মেসেজ পাঠিয়ে জানায় যে, সে আমাকে আবারো অন্তরঙ্গভাবে পেতে চায়। সে এটাও জানায় যে, বিষয়টি যেন গোপন থাকে। এরপর আমরা আবারো মিলিত হই।
তবে তারপরই সব শেষ হয়ে যায়। সিআরসেভেন সব যোগাযোগ বন্ধ করে। এমনকি সব সোশ্যাল মিডিয়াতে সে আমাকে ব্লক পর্যন্ত করে দেয়। যাতে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পারি।
সাক্ষাৎকারে নাতাশা বলেন, ক্রিস্টিয়ানো আমাকে যেন ইটের টুকরোর মতো ছুঁড়ে মারলো। তখন আমার বারবার মনে হচ্ছিল, সে এভাবেই হয়তো তার অন্য বান্ধবীদেরও ভোগ করার পর ছুঁড়ে মারে। আমাকে তখন অনেকে বলছিল, প্রফেশনাল ফুটবলাররা এমনই হয়। কারণ তারা সবসময় অনেক সুন্দরী নারী বেষ্টিত থাকে। সুতরাং যাকে ইচ্ছা ক্ষণিকের জন্য আপন করে নেয় আবার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ছুঁড়ে মারে।
নাতাশা রদ্রিগেজ আরও বলেন, আমার মনে হয়, রোনালদোর বর্তমান বান্ধবী জর্জিনা তাকে ভালোভাবেই বশ করতে পেরেছে। তাকে চোখে চোখে রেখে এখনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে।
কান্নাভেজা কণ্ঠে নাতাশা বলেন, ‘ও (রোনালদো) যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, আমি কতটা কষ্ট পেয়েছিলাম, তা বর্ণনাতীত। এমনকি সে আমাকে ইনস্টাগ্রামেও ব্লক করে রাখে। এ ঘটনা এখনো আমাকে ব্যথিত করছে।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই তারকার সঙ্গে আমার কাটানো মুহূর্তগুলো আমি এখনো ভুলতে পারিনি। আমি কখনো ভাবিনি যে, এভাবে আমাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। তবে এতকিছুর পরও রোনালদোর জন্য সবসময় শুভ কামনা রদ্রিগেজের। বলেন, ‘যখন শুনলাম সে য়্যুভেন্তাস ছেড়ে ম্যানইউতে আবারো ফিরে যাচ্ছে আমি খুব খুশি হয়েছি। সে যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক।’
রোনালদোর বর্তমান বান্ধবী জর্জিনার জন্যও শুভকামনা জানিয়েছেন পর্তুগিজ এই মডেল। বলেন, ‘আমি চাই ওদের দুজনের সম্পর্কটা সবসময় অটুট থাকুক। আমার মতো ওর ভাগ্যে এমন কিছু না ঘটুক।’